রেললাইন স্থাপনের প্রতিবাদে কোমরপুর-বাঘাডাঙ্গা গ্রামবাসীর মানববন্ধন।


  চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হতে মেহেরপুর পর্ষন্ত রেল লাইনের স্থাপনের  সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। যে কারণে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।

এখানে রেল লাইন করা হলে এলাকায় দেখা দিবে দূর্ভিক্ষ। বেকার হয়ে পড়বে হাজার হাজার মানুষ। এরই প্রতিবাদে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা রেল লাইন স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টায় দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড (কোমরপুর- বাঘাডাঙ্গা) রেল লাইন স্থাপন প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক মওলা বকসের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ওআলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন হাজার বছরের সৃষ্ট বাঙ্গালী বাংলাদেশের স্থাপতি মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বিশ্ব মানবতার মৃর্ত প্রতীক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন দারিদ্র ওক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলাদেশ। কৃষি প্রধান এ বাংলাদেশে কৃষকের ভূমিকা দেশকে এহিয়ে নিয়েছে।
বর্তমান সরকারের কৃষি বান্ধব মনোভাবের কারণে দেশে ঘটেছে কৃষি বিপ্লব। কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ও হাজার ও প্রতিকুলতা কে মোকাবেলা করে এদেশের মানুষের অন্ন জোগায়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের কৃষক সমাজ আজ মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। কৃষকদের পরিশ্রুমের ফসল দেশে আজ খাদ্য স্বয়ংসম্পর্ণ।
দেশে মানুষ কাড়ছে কিন্তু জমি বাড়ছে না। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হাজার হাজার হেক্টর জমি নষ্ট করে সরকার রেল লাইন স্হাপনের যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে তা কৃষকের বুকে কুঠার আঘাতের সামিল।
আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই আমাদের অন্ন স্থাপনের একমাত্র সম্বল আমাদের জমি নষ্ট করে রেল লাইন স্থাপন করতে দিবো না। আমাদের বুকে রক্তে মাটি ভিজে গেলেও আমরা জমি ছাড়বো না।
মানববতার ফেরিওয়ালা মাননীয় প্রধানমন্ত্রির নিকট আমাদের আকুল আবেদন তিন ফসলি জমি নষ্ট করে আমাদের মুখের আহার কেড়ে নিবেন না। রেল লাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এলাকার পা-ফাটা মানুষকে বাঁচতে দিন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জাহিদুর রহমান মুকুল, রেল লাইন স্থাপন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম আহবায়ক  ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মন্টু, ডা: ইবাদত আলী, আবুল কাশেম, আশরাফ আলী, রবজেল আলী, হযরত আলী, মহাসিন আলী, নোয়াজ্জেশ আলী, মোস্তাফিজ কচি, সহিদুল ইসলাম, কলিমউদ্দিন, মিজান মোশাররফ তরফদার, আশরাফ আলী,   আলাউদ্দিন, আক্তাদির লালু,   তমিজ উদ্দিন, রবিউল ইসলাম ,আশাদুুল হক,বখতিয়ার বকুল, মেহেদি মিলন, আবু জাফর, আক্তার, মতিয়ার খবির আলী, সানাউল কবির শিরিন,সালেকিন তরফদার, শেখ শাহীন সহ পাঁঁচ
 শতাধিক লোকজন এ মানববন্ধন ও আলোচনায় উপস্হিন ছিলেন।
প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থেকে শুরু হয়ে কার্পাসডাঙ্গা বাজারের কোলঘেঁষে মুজিবনগরের মেহেরপুর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার নতুন স্হাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সম্প্রতি কার্পাসডাঙ্গার পার্শ্ববর্তী কোমরপর ও বাঘাডাঙ্গা এলাকা মাপজোপ করা হয় রেললাইন স্থাপনের জন্য। এরপরই ফুঁসে ওঠে এলাকার সাধারণ মানুষ।

মন্তব্যসমূহ